নির্বাচনী এলাকা খুলনা-৪ দিঘলিয়া, রূপসা, তেরখাদাকে সংযুক্ত করে ‘খুলনা সিটি আউটার বাইপাস রোড’ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে ২৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার ৪ লেনের রাস্তাসহ ভৈরব, আতাই এবং আঠারোবাকী নদীর উপর ৩ টি ব্রিজ নির্মিত হবে। প্রকল্পটি অনুমোদনে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী।
প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রকল্প) মোরতোজা আল মামুন খুলনা গেজেটকে জানান, ভবিষ্যতে খুলনা শহরের উপর যানবাহন এবং আবাসনের চাপ কমানোর লক্ষ্যকে সামনে রেখে কেডিএ’র মাস্টার প্লান অনুযায়ী খুলনা শহরের সার্কুলার রোড নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে দিঘলিয়া, রূপসা ও তেরখাদা উপজেলাকে সংযুক্ত করে খুলনা সিটি আউটার বাইপাস রোড নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প তৈরী করা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য গত জুন মাসে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আশা করি প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখবে।
প্রকল্পটি সিটি বাইপাস থেকে শুরু হয়ে বাদামতলা কেডিএ শিল্প এলাকা হয়ে ক্যাবল ফ্যাক্টরীর সামনে দিয়ে ভৈরব নদীতে ব্রিজের উপর দিয়ে দিঘলিয়া উপজেলার ঘোষগাতী, ব্রক্ষগাতী, পানিগাতী, সেনহাটী হয়ে চন্দনীমহল যাবে। এরপর আতাই নদীতে ব্রিজের উপর দিয়ে রূপসা উপজেলার মল্লিকপুর, উত্তর দুর্জনীমহল, নন্দনপুর দিয়ে ভদ্রাগাতী, নেহালপুর হয়ে আঠারোবাকী নদীতে ব্রিজের উপর দিয়ে কুদির বটতলায় রূপসা ব্রিজের হাইওয়ের সংগে সংযুক্ত হবে। ২৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ আউটার বাইপাসটি হবে ৪ লেন বিশিষ্ট এবং রোডের উভয় পাশে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচলের জন্য পৃথক লেন থাকবে। প্রকল্পের মেয়াদ হবে ৩ বছর।
ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত কনসালটেন্ট ফার্মের মাধ্যমে প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর প্রকল্পটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যাবে একনেকে পাসের জন্য। এরপর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে এই তিন উপজেলার সঙ্গে খুলনা নগরীর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ফলে এ এলাকাগুলোতে নগরায়ন হবে, উন্নয়ন হবে মানুষের জীবনমানের। এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। মোংলা পোর্টের সঙ্গে যোগাযোগের বিকল্প পথ বা সড়ক নেটওয়ার্ক তৈরী হবে। প্রকল্পটি পাস হলে ভবিষ্যতে এ সব এলাকায় আবাসনের জন্য কেডিএ’র প্লট তৈরীর পরিকল্পনা রয়েছে।